টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষ দেশে পৌছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় পৌনে ১১ টায় পৌছানোর কথা থাকলেও বিমান পৌছে বিলম্বে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে গণমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন এবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দলের সঙ্গে ফেরেননি ৷ দলে আরও কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় থাকলেও ২২ গজে প্রথমে নতুন বল খেলার মতো দেশে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয়েছে শান্তকে। দিয়েছেন নিজেকে নিয়ে এত সমালোচনার উত্তরও।
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ের মতোই খানিকটা ধীরে-সুস্থে প্রশ্ন সামলেছেন৷ দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, এরপরও তাকে নিয়ে সমালোচনা। দেশে ফিরেই এর জবাব দিতে হয়েছে ওপেনারকে, ‘আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আসলে আমি ওদিকে একদম ফোকাসই দিইনি। আমি আমার খেলাতে মনোযোগ দিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। বাট আমি মনে করি, এখান থেকে যেন আরও ভালো করতে পারি সামনে সেই চেষ্টা থাকবে।’
বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশের সমর্থকদের মধ্যে সেমির আশা সেভাবে ছিল না। ২ ম্যাচ জিতে ৪ পয়েন্ট হওয়ার পর সেই আশা তৈরি হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে সেমির আশাভঙ্গ হলেও খুব হতাশ নন শান্ত, ‘হতাশ বলব না, কারণ আমার মনে হয় না যে, কেউ এ রকমভাবে চিন্তা করছিল যে, সেমি ফাইনালে যাওয়ার জন্য এরকম একটা সুযোগ তৈরি হবে, বিশ্বকাপ শুরুর আগে। আমরা ওটাই চিন্তা করছি যে, আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। অবশ্য যখন ওই সুযোগটা পেয়েছিলাম তখন সবার প্ল্যান ছিল । যদিও ওই সুযোগটা নিতে পারিনি। এই আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে যখন আমরা পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলব।’
এবারের বিশ্বকাপে তিন বিভাগের পারফরম্যান্সের মধ্যে বোলারদেরই এগিয়ে রেখেছেন এই ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বোলিং বিভাগটা খুবই ভালো ছিল। বোলিং বিভাগ খুবই ভালো করেছে প্রত্যেকটা ম্যাচে।’
এটি শান্তর ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ। এই সফরে ভালো সময় যেমন এসেছে, ছিল খারাপ সময়ও। সেই সময় টিমমেটরা একে অন্যের পাশে ছিলেন, ‘সবাই একসঙ্গে ছিল, একজনের খারাপ সময়ে সবাই পাশে ছিল। সো ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রথম বিশ্বকাপ হিসেবে এই জিনিসটা ফিল করছি।’